করোনাভাইরাসে তরুণদের চেয়ে প্রবীণদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তাই বাড়ির প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে প্রবীণ নাগরিকদের। কারণ কম বয়সীদের তুলনায় প্রবীণ নাগরিকরাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন বেশি।
দেশে করোনার সতর্কতা জারি করে ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
অনেকের ঘরেই প্রবীণ সদস্য রয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে যারা ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ ও কিডনির অসুখসহ নানাবিধ রোগে ভুগছেন, তাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে কম।
করোনা থেকে প্রবীণদের নিরাপদে রাখতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। আসুন জেনে নিই বাড়ির প্রবীণদের নিরাপদে রাখতে কী করবেন-
১. প্রবীণদের প্রতি খুবই যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। তাদের বাড়ির বাইরে যেতে না দেয়াই ভালো। আর যদি কোনো জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতেই হয়, তবে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২. যেসব প্রবীণ নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ ও কিডনির অসুখসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাদের নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
৩. অতিরিক্ত মসলা ও তেলজাতীয় খাবার প্রবীণদের খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া তাদের খাবার প্লেট, গ্লাস আলাদা করে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৪. প্রবীণদের সুস্থ রাখতে দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি না থাকলে প্রস্রাব ও মলত্যাগের অসুবিধা থাকবে না। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কর্মক্ষম ও সক্রিয় থাকবে।
৫. যেহেতু প্রবীণদেরই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাই বাইরের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখাই ভালো।